কিভাবে কাজ করে?
উত্তর : কম্পিউটারে কোনো কাজ
করতে হলে তা প্রোগ্রামিংয়ের
মাধ্যমে করতে হয়। সাধারণভাবে
কম্পিউটারে দুই ধরনের প্রোগ্রাম
বা
প্রোগ্রামগুচ্ছ থাকে। একটি
অপারেটিং সিস্টেম ও সংশ্লিষ্ট
সফটওয়্যার, অন্যটি অ্যাপ্লিকেশন
সফটওয়্যার। যখনই কোনো সফটওয়্যার
কাজ করে, তখন এর কিছু অংশ
কম্পিউটারের মেমোরিতে
অবস্থান
নেয় এবং বাকি অংশগুলো
অপারেটিং সিস্টেমের
সহায়তায়
অন্য কার্যাবলি সম্পন্ন করে। আবার
এমন
প্রোগ্রামিং কোড লেখা সম্ভব,
যা
এসব সফটওয়ারের কাজে বিঘ্ন
ঘটাতে
পারে। বিভিন্ন হার্ডওয়্যারের
সফটওয়্যার ইন্টারফেস বিনষ্ট করতে
পারে, এমনকি সম্পূর্ণ কম্পিউটারের
কার্যক্ষমতাকে নষ্ট করে ফেলতে
পারে। যেহেতু এ ধরনের প্রোগ্রাম
কম্পিউটারের জন্য ক্ষতিকর তাই
তাকে বলা হয় ক্ষতিকর সফটওয়্যার
বা
মেলিসিয়াস (Melicious) সফটওয়্যার,
যাকে সংক্ষেপে বলা হয়
ম্যালওয়্যার
(Malware)।
ম্যালওয়্যার অন্য সফটওয়্যারকে
কাঙ্ক্ষিত কর্মসম্পাদনে বাধার
সৃষ্টি
করে। এ বাধা অপারেটিং
সিস্টেম
সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন
সফটওয়্যার উভয়ের জন্য হতে পারে।
যেসব কম্পিউটারে সিস্টেম
সফটওয়্যার নিরাপত্তা ব্যবস্থায়
ত্রুটি
থাকে, সেসব ক্ষেত্রে ম্যালওয়্যার
তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হয়। কেবল
নিরাপত্তা ত্রুটি নয়, ডিজাইনে
গলদ
কিংবা ভুল থাকলেও ম্যালওয়্যার
তৈরি করা সম্ভব। কোনো কোনো
সময়
ব্যবহারকারীর অজান্তে তার
কম্পিউটারের মধ্যে
প্রবেশাধিকার
লাভ করে তথ্য চুরি করে।
ম্যালওয়্যার
প্রোগ্রামিং কোড, স্ক্রিপ্ট,
সক্রিয়
তথ্যাধার কিংবা অন্যান্য
সফটওয়্যারের মতো প্রকাশিত হতে
পারে। ইন্টারনেট বিকাশের ফলে
ম্যালওয়্যার ব্যাপক আকারে
ছড়িয়ে
পড়ছে।
২. কম্পিউটার ভাইরাস কী? এটি
কী
ধরনের কাজ করে? ভাইরাসকে কয়
ভাগে ভাগ করা হয়? সংক্ষেপে
লেখো।
উত্তর : কম্পিউটার ভাইরাস হলো এক
ধরনের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার।
ভাইরাস
মূলত এক ধরনের কম্পিউটার
প্রোগ্রাম
কোড বা প্রোগ্রামগুচ্ছ, যা
কম্পিউটারের কাজে ব্যাঘাত
সৃষ্টি
করে। কম্পিউটার ভাইরাস
কম্পিউটার
সিস্টেমের নানা ধরনের ক্ষতি
করে।
এর মধ্যে দৃশ্যমান ক্ষতি যেমন-
কম্পিউটারের গতি কমে যাওয়া,
হ্যাং হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন রিবুট
(Reboot)
হওয়া ইত্যাদি।
কম্পিউটার ভাইরাস নানা ধরনের
প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের কাজে
বিঘ্ন ঘটায়। বিভিন্ন
হার্ডওয়্যারের
সফটওয়্যার ইন্টারফেস বিনষ্ট করে।
কম্পিউটার সিস্টেম ফাইলের
ক্ষতি
করতে পারে। কম্পিউটারে রক্ষিত
তথ্য চুরি করতে পারে। এমনকি সম্পূর্ণ
কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা নষ্ট
করেও
দিতে পারে।
কাজের ধরন অনুসারে ভাইরাসকে
দুই
ভাগে ভাগ করা হয় br /> ১. নিবাসী
ভাইরাস (Resident Virus) br /> কোনো
কোনো ভাইরাস চালু হওয়ার
পর মেমোরিতে স্থায়ী হয়ে বসে
থাকে। যখনই অন্য কোনো প্রোগ্রাম
চালু হয়, তখনই সেটি সেই
প্রোগ্রামকে সংক্রমিত করে। এ
ধরনের ভাইরাসকে নিবাসী
ভাইরাস
বলা হয়।
২. অনিবাসী ভাইরাস (Non-Resident
Virus) : কোনো কোনো ভাইরাস
সক্রিয় হয়ে ওঠার পর, অন্যান্য কোন
প্রোগ্রামকে সংক্রমণ করা যায়
সেটি খুঁজে বের করে। তারপর
সেগুলোকে সংক্রমণ করে এবং
পরিশেষে মূল প্রোগ্রামের কাছে
নিয়ন্ত্রণ দিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে
যায়।
এগুলোকে বলা হয় অনিবাসী
ভাইরাস।
৩. ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার থেকে
নিষ্কৃতি পাওয়ার উপায় কী?
উত্তর : বিশেষ ধরনের কম্পিউটার
প্রোগ্রাম ব্যবহার করে ভাইরাস,
ওয়ার্ম কিংবা ট্রোজান হর্স
ইত্যাদি
থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়।
এগুলোকে বলা হয় অ্যান্টিভাইরাস
বা অ্যান্টিম্যালওয়্যার। বেশির
ভাগ
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার
বিভিন্ন
ম্যালওয়্যারের বিরুদ্ধে কার্যকর
হলেও
প্রথম থেকে অ্যান্টিভাইরাস
সফটওয়্যার নামে পরিচিত।
বাজারে
প্রচলিত প্রায় সব অ্যান্টিভাইরাস
সফটওয়্যারই ভাইরাস ভিন্ন অন্যান্য
ম্যালওয়্যারের বিরুদ্ধে কার্যকর।
যখন অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারকে
কাজ করতে দেওয়া হয়, তখন সেটি
কম্পিউটার সিস্টেমের বিভিন্ন
ফাইলে বিশেষ নকশা খুঁজে বের
করে
এবং তা তার নিজস্ব তালিকার
সঙ্গে তুলনা করে।
যদি এটি মিলে যায়, তাহলে
এটিকে
ভাইরাস হিসেবে শনাক্ত করে।
যেহেতু বেশির ভাগ ভাইরাস
কেবল
কার্যকর ফাইলকে সংক্রমিত করে,
কাজেই সেগুলোকে পরীক্ষা
করেই
অনেকখানি আগানো যায়। সব
ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারের একটি
নির্দিষ্ট প্যাটার্ন রয়েছে।
অ্যান্টিভাইরাস এসব প্যাটার্নের
তালিকা সংগ্রহ করে এবং এর
ভিত্তিতে ভাইরাস বা
ম্যালওয়্যার
শনাক্ত করে। তাই এই তালিকাটি
নিয়মিত হালনাগাদ করা
প্রয়োজন।
তা ছাড়া যেসব ডিভাইসের
মাধ্যমে
যেমন-পেনড্রাইভ, হার্ডডিস্ক,
নেটওয়ার্ক গেটওয়ের সাহায্যে
ভাইরাস ছড়ায়, সেগুলো ব্যবহারে
সচেতন থাকতে হবে।











কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন